বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন

তেতুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাতানো এমসি নির্বাচনের অভিযোগ

তেতুলবাড়িয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাতানো এমসি নির্বাচনের অভিযোগ

ঝালকাঠি প্রতিনিধিঃ
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার তেতুলবাড়িয়া ইসলামিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে পাতানো নির্বাচন হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে। আগামী ১৯মার্চ ভোট গ্রহনের তারিখ নির্ধারন করে ইতোমধ্যে তফসিল ঘোষনাও হয়েছে। তফসিল অনুযায়ী গত ৫ থেকে ৭ মার্চ তারিখে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ ও দাখিল করেছে প্রার্থীরা।
ভোটারদের তথ্যমতে মুল অভিযোগ হলো, এই বিদ্যালয়ের যিনি এডহক কমিটির সভাপতি পদে আছে তিনিই আবার এই নির্বাচনের প্রিজাইডিং কর্মকর্তার দায়িত্ব নিয়েছেন। তার এই দৈত্ব দায়িত্ব নির্বাচনী বিধিলংঘন বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের সাথে আতাঁত করে বিধিবহির্ভূত ভাবে তিনি দৈত্ব ভূমিকায় লিপ্ত হয়েছেন বলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক অভিভাবক নিউজবাংলাকে জানিয়েছেন।
এদিকে পুরো বিষয়টি জানা সত্বেও
নলছিটি উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিষয়টি এরিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছে বলেও অভিযোগ করেছেন ভোটাররা।
বিদ্যালয় ম্যানেজিং কমিটির অভিভাবক সদস্য পদের প্রার্থী ফিরোজ আলম বলেন, ‘স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম তার ছক মোতাবেক পকেট কমিটি গঠনের লক্ষে একটি পাতানো নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আর সেই নীল নকশার কমিটি বাস্তবায়নে বিদ্যালয়ের বর্তমান এডহক কমিটির সভাপতি নিজেই প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব নিয়ে জোর প্রচেষ্টা চালাচ্ছে।’
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক শিক্ষার্থীদের অভিভাবকরা জানিয়েছেন, স্কুলের সভাপতি ও প্রিজাইডিং অফিসার বদরুল আলম তড়িঘড়ি করে গোপন নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করেছেন। এই তফসিল ঘোষনার আগ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের অভিভাবকদের কিছুই জানানো হয়নি। মিডিয়া কর্মীদের কাছে কারা অভিযোগ করেছে এমন অভিভাবকদেরকেও খুজছে দৈত্ব দায়িত্বে থাকা মোহাম্মদ বদরুল আলম।
অভিভাবকরা অভিযোগ করেন, তফসিল ও ভোটার তালিকা ক্লাসে পাঠ করাসহ নোটিশ বোর্ডে টানিয়ে দেয়ার বিধান থাকলেও তারা এর কোন তোয়াক্কা করেনি। মেয়াদ শেষ হওয়ার ৮০দিন পূর্বে নির্বাচনী কার্যক্রম শুরু করার বিধাণ থাকলেও করোনার
জন্য ২২ জানুয়ারী থেকে ২১ ফেব্রুয়ারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় প্রধান শিক্ষক সে বিধানও অনুসরন করেনি। এছাড়াও ভোটার তালিকায় সভাপতির নাম অংকিত সিল মোহর থাকা বাধ্যতামূলক হলেও ঘোষিত তালিকায় সিল মোহন ব্যবহার করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে এডহক কমিটির সভাপতি ও প্রিজাইডিং অফিসার বদরুল আলম নিউজবাংলাকে বলেন, ‘ভোটার তালিকায় নাম অংকিত সিল মোহর দেয়াটা উচিৎ ছিলো। তবে আমার কোন দোষ ত্রুটি হলে আমি তা সংশোধন করে নিবো।’
তিনি আরো বলেন, ‘শিক্ষাবোর্ড কতৃক নিয়ম অনুযায়ী প্রিজাইডিং নিয়োগের পর সভাপতির কোন কার্যক্রম বা দায়িত্ব থাকে না।’ তাহলে আগামী ২১ এপ্রিল পর্যন্ত তিনি সভাপতির দায়িত্বে থেকে প্রিজাইডিং অফিসার কিভাবে হলেন জানতে চাইলে কোন সদুত্তোর দিতে পারেনি।
স্কুলটির প্রধান শিক্ষক আবুল কাসেম দুলাল পাতানো নির্বাচনের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি সুষ্ঠভাবে নির্বাচন পরিচালনা করার পক্ষে। কোনো বিতর্ক হোক তা আমি চাইনা। তবে আমাকে অনেকেই দোষী দাবী করে ফোনে অনেক কথা শুনাচ্ছে। আমার জায়গা থেকে আমি সঠিক আছি।’
এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আনোয়ারুল আজিম জানান, দ্বৈত দায়িত্ব নেয়ার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবহিত করা হয়েছে। তার সাথে পরামর্শ করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।
নলছিটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুম্পা সিকদার বলেন, একই ব্যক্তি সভাপতি ও প্রিজাইডিং এর দায়িত্ব কেন নিলো তা আমি এখনই খোজ নিয়ে ব্যবস্থা নেবো। প্রয়োজনে মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে প্রিজাইডিং কর্মকরবতা নিয়োগের দায়িত্ব প্রদান করা হবে।

নিউজটি আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করুন

কাঠালিয়া বার্তা’য় বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন : মোবাইলঃ 01774937755 অথবা ই-মেইল: kathaliabarta.com












All rights reserved@KathaliaBarta 2016-2025
Design By Rana